সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৪


সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৪

( ১৯৯৪ সনের ২১ নং আইন )

[১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৪]

সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন আইন, ১৯৯২ এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখে বা তত্পূর্বে উক্ত আইনের অধীন রম্্নজুকৃত ও অনিষ্পন্ন মামলা, আপীল ও অন্যান্য কার্যধারা নিষ্পত্তি এবং নিষ্পন্নকৃত তদন্ত্মের ভিত্তিতে মামলা ও অন্যান্য কার্যধারা পরিচালনা ও আনুষংগিক বিষয়ে বিধান করার জন্য প্রণীত আইন৷

 

যেহেতু সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন আইন, ১৯৯২ (১৯৯২ সনের ৪৪ নং আইন) এর মেয়াদ উক্ত আইনের ১(২) ধারা অনুযায়ী, ২১ শে কার্তিক, ১৪০১ মোতাবেক ৫ই নভেম্বর ১৯৯৪ তারিখে উত্তীর্ণ হইয়াছে;

 

এবং যেহেতু উক্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখে বা তত্পূর্বে রম্্নজুকৃত এবং অনিষ্পন্ন মামলা, আপীল ও অন্যান্য কার্যধারা নিষ্পত্তি করা এবং নিষ্পন্নকৃত তদন্ত্মের ভিত্তিতে মামলা ও অন্যান্য কার্যধারা পরিচালনা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল:-

 

সূচী

ধারাসমূহ

 

১৷ সংতিগপ্ত শিরোনামা ও প্রর্বতন

২৷ সংজ্ঞা

৩৷ ১৯৯২ সনের ৪৪ নং আইনের অধীন কতিপয় কার্যধারা নিষ্পত্তিকরণ

৪৷ ১৯৯২ সনের ৪৪ নং আইনের অধীন অপরাধের অনিষ্পন্ন তদন্ত্মের নিষ্পত্তি ও বিচার

৫৷ রহিতকরণ ও হেফাজত

মূল আইন

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩


নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩
( ২০১৩ সনের ৫০ নং আইন )
[২৭ অক্টোবর, ২০১৩ ]
 
নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সনদের কার্যকারিতা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু ১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার অথবা দণ্ডবিরোধী একটি সনদ স্বাক্ষরিত হইয়াছে; এবং
যেহেতু ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত দলিলের মাধ্যমে উক্ত সনদে বাংলাদেশও অংশীদার হইয়াছে; এবং
যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদ নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর, অমানবিক, লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ করিয়াছে; এবং
যেহেতু জাতিসংঘ সনদের ২(১) ও ৪ অনুচ্ছেদ নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর ব্যবহার ও দণ্ড অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করিয়া নিজ নিজ দেশে আইন প্রণয়নের দাবি করে; এবং
যেহেতু বাংলাদেশে উপরিউক্ত সনদে বর্ণিত অঙ্গীকারসমূহের কার্যকারিতা প্রদানে আইনী বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:—
সূচী
ধারাসমূহ
১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। আইনের প্রাধান্য
৪। আদালতে অপরাধের অভিযোগ
৫। আদালত কর্তৃক মামলা দায়েরের নির্দেশ দান
৬। তৃতীয় পক্ষ দ্বারা অভিযোগ
৭। অভিযোগের অপরাপর ধরন
৮। অপরাধের তদন্ত
৯। ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
১০। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
১১। নিরাপত্তা বিধান
১২। যুদ্ধ অথবা অন্য ধরনের অজুহাত অগ্রহণযোগ্য
১৩। অপরাধসমূহ
১৪। বিচার
১৫। শাস্তি
১৬। আপীল
১৭। অ-নাগরিক
১৮। প্রত্যর্পণ
১৯। ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও অপ্রত্যক্ষ প্রমাণ
২০। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

 মূল আইন এখানে দেখুন 

বাংলাদেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার পটভূমি


বাংলাদেশের বর্তমান আইন ও বিচার ব্যবস্থা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় দু’শ বছরের বৃটিশ শাসনের কাছে বহুলাংশে ঋণী, যদিও এর কিছু কিছু উপাদান প্রাক-বৃটিশ আমলের হিন্দু এবং মুসলিম শাসন ব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। এটি বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া হিসেবে পর্যায়ক্রমে বিকাশ লাভ করে। এ বিকাশের প্রক্রিয়াটি আংশিক স্বদেশী ও আংশিক বিদেশী এবং গঠন প্রণালী, আইনগত ধারণা ও নীতিমালার ক্ষেত্রে ইন্দো-মোঘল এবং বৃটিশ উভয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে উদ্ভূত একটি মিশ্র আইনী ব্যবস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশের বৃটিশ আমলের পূর্ববর্তী পাঁচশত বছরেরও বেশী মুসলিম ও হিন্দু শাসনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। প্রত্যেকটি শাসনামলের নিজস্ব স্বতন্ত্র আইন ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল।

প্রায় পনের’শ বছর আগে এবং খ্রীষ্টীয় যুগ আরম্ভ হওয়ার পরে হিন্দু আমলের বিস্তৃতি ঘটে। সে সময় প্রাচীন ভারতবর্ষ কতিপয় স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং রাজা ছিলেন প্রত্যেকটি রাজ্যের সর্বময় কর্তা। বিচার ব্যবস্থা তথা ন্যায় বিচার প্রসঙ্গে রাজা ন্যায় বিচারের উৎস হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং তাঁর রাজত্বে বিচার প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হতেন।

১১০০ খ্রীষ্টাব্দে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসকদের আক্রমণ ও বিজয়ের ফলে মুসলমান আমলের শুরু হয়। একাদশ শতাব্দীর শুরুতে এবং দ্বাদশ শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে মুসলমান শাসকদের আক্রমণের মুখে হিন্দু রাজত্ব পর্যায়ক্রমে খন্ড বিখন্ড হতে শুরু করে। যখন মুসলমানরা সকল রাজ্য জয় করে, তখন তারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআনের উপর ভিত্তি করে তৈরি মতবাদও তাদের সঙ্গে করে এনেছিল। পবিত্র কোরআন অনুসারে সার্বভৌমত্ব সর্বশক্তিমান আল্লাহর হাতে ন্যস্ত এবং রাজা হচ্ছে পৃথিবীতে আল্লাহর ইচ্ছা ও আদেশ পালনকারী এক অনুগত দাস। শাসক ছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহর পছন্দনীয় প্রতিনিধি এবং জিম্মাদার।

ইংরেজ আমলে বৃটিশ রাজকীয় সনদপ্রাপ্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কিছু কর্মকর্তা ভারতের প্রাচীন আইন ও বিচার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ভার গ্রহণ করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী পর্যায়ক্রমে বোম্বে, মাদ্রাজ এবং কলকাতার দখল গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, যা পরবর্তী সময়ে ‘প্রেসিডেন্সি টাউন’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোম্পানী বিচার প্রশাসনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিল। রাজা প্রথম জর্জ কর্তৃক ইস্যুকৃত ১৭২৬ সালের সনদ ভারতে ইংরেজ আইন ও বিচার ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাণিজ্যের জন্য অনুমোদন পায়। পরবর্তীতে এ সনদের ত্রুটিসমূহ দূর করার লক্ষ্যে রাজা দ্বিতীয় জর্জ ১৭৫৩ সালে নতুন সনদ ইস্যু করেন। এ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য হাউজ অব কমনস- এর গোপনীয় কমিটি হস্তক্ষেপ করে এবং রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৭৭৩ পাশ করে, যার অধীন রাজা কলকাতায় বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৭৪ সালে একটি পৃথক সনদ ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে ১৮০১ সালে মাদ্রাজে এবং ১৮২৪ সালে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ভারতে ১৮৫৩ সালে প্রথম আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং একটি সর্ব ভারতীয় আইন সভা সৃষ্টি করা হয় যার প্রণীত আইন সকল আদালতের উপর কার্যকর ছিল। এ সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বিলুপ্ত করা হয় এবং ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন তথা সিপাহী বিপ্লবের পর ১৮৫৮ সালেই ভারতের শাসনভার বৃটিশ রাজা কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন, ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, দণ্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন ইত্যাদি সেই সময় প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং সাধারণ আইনী কাঠামোয় বৃটিশ আইন সভা ১৮৬১ সালে ভারতীয় হাই কোর্ট আইন প্রণয়ন করে যার মাধ্যমে তিনটি প্রেসিডেন্সি শহরে (কলকাতা, বোম্বে ও মাদ্রাজ) প্রতিষ্ঠিত বিদ্যমান সুপ্রীমকোর্ট প্রতিস্থাপন করে হাইকোর্ট স্থাপন করা হয়। হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পর দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতের একটি নিয়মিত ক্রমঅধিকারতন্ত্র দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে । ভারতীয় উপ-মহাদেশের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে বিদ্যমান বর্তমান ব্যবস্থার আইনগত ভিত্তি হচ্ছে এই দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট বৃটিশ আইন সভা ভারত ও পাকিস্তানকে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ এর বলে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে । এ আইন অনুসারে, স্বাধীন ভারত ও পাকিস্তানের জন্য নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত এ দুই দেশের সরকার পরিচালিত হবে ভারত সরকার আইন, ১৯৩৫ এর মাধ্যমে। বিচার বিভাগের গঠন প্রণালী ১৯৪৭ সনের আগে যেরূপ ছিল প্রধানত তাই রয়ে গিয়েছে।

১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইন সরকারের গঠন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে শাসন ব্যবস্থা একক বা কেন্দ্রীয় শাসন পদ্ধতি হতে ফেডারেল পদ্ধতিতে পরিবর্তিত হয়। এ আইনের বিধি অনুসারে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই নতুন সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত ফেডারেল আদালত চালু রাখা হয়।

পাকিস্তান গণপরিষদ ‘প্রিভি কাউন্সিল (অধিক্ষেত্র বাতিল) আইন, ১৯৫০’ পাশ করে যা পাকিস্তানের ফেডারেল আদালত হতে প্রিভি কাউন্সিলে আপীল দায়েরের ব্যবস্থাকে বাতিল করেছিল। ১৯৫৬ সালে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মাধ্যমে এর আওতায় প্রদেশসমূহে হাই কোর্ট এবং কেন্দ্রে পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ফেডারেল আদালত পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের এ সংবিধান ১৯৫৮ সালে বাতিল করা হয়েছিল এবং ১৯৬২ সালে নতুন আরেকটি সংবিধান চালু করা হয়, কিন্তু সমগ্র বিচার কাঠামো একই রয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ একটি সংবিধান গ্রহণ করে যাতে আপীল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রীম কোর্টের গঠন প্রণালী ও কার্যক্রম বর্ণনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের অধঃস্তন বিচার বিভাগ, দেওয়ানী ও ফৌজদারী ব্যবস্থা উভয়ের উৎপত্তি হয়েছিল দেওয়ানী আদালত আইন, ১৮৮৭ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ১৮৯৮ থেকে। এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কতিপয় অন্যান্য বিশেষ আইন আছে, যা কিছু বিশেষ আদালতের ভিত্তিস্বরূপ কাজ করে, যেমন – শ্রম আদালত, শিশু অপরাধ আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি।

এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২


এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২

( ২০০২ সনের ২ নং আইন )
[১৭ মার্চ, ২০০২]

এসিড অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে বিধান করার লক্ষ্যে প্রণীত আইন৷

যেহেতু এসিড অপরাধসমূহ কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সূচী

ধারাসমূহ

১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
২৷ সংজ্ঞা
৩৷ আইনের প্রাধান্য
৪৷ এসিড দ্বারা মৃত্যু ঘটানোর শাস্তি
৫৷ এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তি
৬৷ এসিড নিক্ষেপ করা বা নিক্ষেপের চেষ্টা করার শাস্তি
৭৷ অপরাধে সহায়তার শাস্তি
৮৷ মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের, ইত্যাদির শাস্তি
৯৷ ক্ষতিগ্রস্তকে অর্থদণ্ডের অর্থ প্রদান
১০৷ অর্থদণ্ড বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের পদ্ধতি
১১৷ অপরাধের তদন্ত
১২৷ ক্ষেত্রবিশেষে আসামীকে সাক্ষী গণ্য করা
১৩৷ তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক আলামত, সাক্ষ্য ইত্যাদি সংগ্রহে গাফিলতি
১৪৷ অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও অ-জামিনযোগ্যতা
১৫৷ জামিন সংক্রান্ত বিধান
১৬৷ বিচার পদ্ধতি
১৭৷ অভিযুক্ত শিশুর বিচার পদ্ধতি
১৮৷ আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার
১৯৷ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা
২০৷ রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির সাক্ষ্য
২১৷ সাক্ষীর উপস্থিতি
২২৷ ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
২৩৷ এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল
২৪৷ অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
২৫৷ অন্য আইনের অধীন সংঘটিত কতিপয় অপরাধের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের এখ্‌তিয়ার
২৬৷ আপীল
২৭৷ মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন
২৮৷ নিরাপত্তামূলক হেফাজত
২৯৷ মেডিক্যাল পরীক্ষা
৩০৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

পুরো আইন পড়ুন

আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩


১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
২। সংজ্ঞা
৩। এই আইনের বিধানাবলীর অতিরিক্ততা
৪। নির্দোষ প্রকাশনা বা বিতরণ অবমাননা নয়
৫। পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননা নহে
৬। অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যখন আদালত অবমাননা নয়
৭। কতিপয় ক্ষেত্র ব্যতীত খাস কামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা নহে
৮। আত্মপক্ষ সমর্থনে অন্য কোন যু্ক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এই আইন বাধা হইবে না
৯। আদালত অবমাননার পরিধি বিস্তৃত না হওয়া
১০। কতিপয় কর্ম আদালত অবমাননা নহে
১১। আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তির বিধান
১২। হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার
১৩। আদালত অবমাননার শাস্তি, ইত্যাদি
১৪। কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
১৫। সুপ্রীম কোর্টে সংঘটিত আদালত অবমাননার ক্ষেত্রে কার্যপদ্ধতি
১৬। বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকার্য সম্পাদনকারী অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক আদালত অবমাননা
১৭। আপীল
১৮ । আপীল দায়েরের সময়সীমা
১৯ । বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২০ । রহিতকরণ ও হেফাজতবিস্তারিত জানুন 

সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯


সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ১৬ নং আইন )

[২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০০৯]

কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং উহাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সূচী

ধারাসমূহ

 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রয়োগ ও প্রবর্তন

২। সংজ্ঞা

৩। অন্যান্য শব্দ ও অভিব্যক্তির প্রযোজ্যতা

৪।আইনের প্রাধান্য

৫। অতিরাষ্ট্রিক প্রয়োগ

দ্বিতীয় অধ্যায়

অপরাধ ও দণ্ড

৬। সন্ত্রাসী কার্য

৭। সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ

৮। নিষিদ্ধ [সত্তার] সদস্যপদ

৯। নিষিদ্ধ [সত্তা] সমর্থন

১০। অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্রের (criminal conspiracy) শাস্তি

১১। অপরাধ সংঘটনের প্রচেষ্টার (attempt) শাস্তি

১২। অপরাধ সংঘটনে সাহায্য ও সহায়তার (aid and abetment) শাস্তি

১৩। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্ররোচিত (instigation) করিবার শাস্তি

১৪। [অপরাধীকে আশ্রয় প্রদানের শাস্তি]

তৃতীয় অধ্যায়

বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা

১৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা

১৬। ব্যাংকের দায়িত্ব

১ চতুর্থ অধ্যায়

নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তালিকাভুক্তকরণ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়ন

১৭। সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত ব্যক্তি বা সত্তা

১৮। নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তালিকাভুক্তকরণ

১৯। পুনঃনিরীক্ষা (Review)

২০। তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ

২০ক। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ

পঞ্চম অধ্যায়

অপরাধের তদন্ত

২১। পুলিশ কর্তৃক সাক্ষীকে পরীক্ষা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান

২২। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সাক্ষীর বিবৃতি রেকর্ড সম্পর্কিত বিশেষ বিধান

২৩। অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি রেকর্ড সম্পর্কিত বিশেষ বিধান

২৩ক। তদন্তকালীন সন্ত্রাসী সম্পত্তি জব্দ বা ক্রোকের বিশেষ বিধান

২৪। তদন্তের সময়সীমা

২৫। কতিপয় মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে সময়সীমা বৃদ্ধি

২৬। পুনঃসমর্পণ (Remand)

ষষ্ঠ অধ্যায়

দায়রা জজ কর্তৃক বিচার

২৭। দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ কর্তৃক অপরাধের বিচার সম্পর্কিত বিধান

সপ্তম অধ্যায়

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কতৃক বিচার

২৮। সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন

২৯। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পদ্ধতি

৩০। বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে কার্যবিধির প্রয়োগ

৩১। আপীল এবং মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন

৩২। জামিন সংক্রান্ত বিধান

৩৩। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মামলা নিষ্পত্তির নির্ধারিত সময়সীমা

অষ্টম অধ্যায়

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হইতে উদ্ভূত সম্পদ

৩৪। [সন্ত্রাসী কর্মকান্ড-লব্ধ সম্পদের দখল (Possession of property obtained from terrorist activities)]

৩৫। [সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-লব্ধ সম্পদ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হইতে উদ্ভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত (Confiscation of assets obtained from terrorist activities and proceeds of terrorism)]

৩৬। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-লব্ধ সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের পূর্বে কারণ দর্শাইবার নোটিশ জারী

৩৭। আপীল

নবম অধ্যায়

পারস্পরিক আইনগত সহায়তা

৩৮। পারস্পরিক আইনগত সহায়তা

দশম অধ্যায়

সাধারণ বিধানাবলী

৩৯। অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিন অযোগ্যতা

৪০। তদন্ত ও বিচার বিষয়ে পূর্বানুমোদনের অপরিহার্যতা

৪১। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল হইতে মামলা স্থানান্তর

৪২। তফসিল সংশোধনের ক্ষমতা

৪৩। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

৪৪। মূল পাঠ এবং ইংরেজী পাঠ

৪৫। রহিতকরণ ও হেফাজত

তফসিল

মূল আইন